Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

শতবর্ষে কালজয়ী মহাপুরুষ মুজিব ও মুজিবের বাংলার কৃষি

ড. মোঃ আবদুল মুঈদ
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাংলার অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার, আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। কালের মহাপরিক্রমায় ২০২০ সালের ১৭ মার্চ পূর্ণ হতে যাচ্ছে মৃত্যুঞ্জয়ী এই মহাপুরুষের জন্মশতবার্ষিকী।
বঙ্গবন্ধু ভালো বাসতেন এ দেশের কৃষি, কৃষক,              কৃষিবিদদের। তিনি বিশ্বাস করতেন কৃষক ও                 কৃষিবিদের উন্নয়ন হলে এ দেশের কৃষির উন্নয়ন হবে। ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের    জনসভায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- “আমার কৃষক, আমার শ্রমিক দুর্নীতি করে না। সকল শিক্ষিত লোকদের বলব, কৃষক শ্রমিকদের সাথে ইজ্জত এবং সম্মান রেখে কথা বলবেন। কারণ দেশের মালিক ওরাই, ওদের দ্বারাই আপনাদের সংসার চলে। তোমরা আজ লেখাপড়া করেছ, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অফিসার হয়েছ তাদের শ্রম আর ঘামের টাকায়।”
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টেকসই কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালের ৭ নম্বর আইনের মাধ্যমে কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৭৩ সালের ১০ নম্বর অ্যাক্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেয় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। ধান ব্যতিরেকে বহুমুখী ফসল গবেষণার সুযোগ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে। পুনর্গঠন করা হয় হর্টিকালচার বোর্ড, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, সিড সার্টিফিকেশন এজেন্সি, রাবার উন্নয়ন কার্যক্রম, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ গবেষণা সমন্বয়ের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ  কৃষি গবেষণা কাউন্সিল। সোনালি আঁশের সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করতে প্রতিষ্ঠা করেন পাট মন্ত্রণালয়।
কালজয়ী এ মহাপুরুষের প্রতিটি গৃহীত পদক্ষেপ আমাদের পথের সন্ধান দিয়েছে, প্রতিটি নির্দেশনা অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে, বাঙ্গালী জাতিকে দিয়েছে নতুন পথের দিশা। তার সোনার বাংলার ন্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে তারই যোগ্য কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দীপ্ত পদে অদম্য অপ্রতিরোধ্য দুর্বার গতিতে।
বাংলাদেশের কৃষি এখন পুরনো কৃষি ব্যবস্থা থেকে বাণিজ্যিক  কৃষিতে, ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ থেকে পুষ্টিনির্ভর কৃষিতে রূপান্তরিত হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে এখন উৎপাদনমুখী লাভজনক নিরাপদ কৃষির অভীষ্ট লক্ষ্যে সারাদেশে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার টেকসই কৃষি ও আধুনিকায়নের জন্য খামার যান্ত্রিকীকরণ ও নিরাপদ কৃষির দিকে জোর দিয়েছে।
বর্তমান জনবান্ধব সরকারের  কৃষি বান্ধব নীতি অনুসরণের ফলে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ফসল উৎপাদনের উপযোগিতা, টেকসই আধুনিক উৎপাদন কৌশল অবলম্বন, পরিবেশ বান্ধব কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার, ফসলের নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন, শস্যবহুমুখিতা অবলম্বন, দ্রæত সম্প্রসারণ পদ্ধতি অনুসরণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পানি ব্যবস্থপনার উন্নয়ন, প্রদর্শনী স্থাপন, প্রণোদনা পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ, সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যভিত্তিক প্রকল্প বা কর্মসূচি গ্রহণ, প্রতিকূলতা সহিষ্ণু প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি নতুন প্রাণ পেয়েছে। সরকার দেশের প্রায় ২ কোটি ৫ লাখ কৃষক পরিবারকে কৃষি উপকরণ কার্ডের আওতায় এনেছে। দেশের প্রায় ১২১টি কৃষি পণ্য এখন বিদেশে রপ্তানিমুখী হয়েছে। স্বাধীনতার ৪৯ বছরে ১৯৭১ এর সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর ৩৫ লক্ষ খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ এখন ১৬ কোটি বাঙ্গালীর খাদ্য সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। ১ কোটি ১০ লক্ষ চাল উৎপাদন থেকে এখন ৩ কোটি ৮৬ লক্ষ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন পাট রপ্তানিতে বিশ্বে প্রথম, পাট ও কাঁঠাল উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয়, সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, স্বাদু পানির মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, ধান উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ, আম উৎপাদনে বিশ্বে সপ্তম, পেয়ারা ও আলু উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম, মৌসুমি ফল উৎপাদনে বিশ্বে দশম । পাট ও ধৈঞ্চা ফসলের জীন রহস্য ইতোমধ্যে উদ্ভাবিত হয়েছে। বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন এখন বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত।
উন্নয়নশীল বাংলাদেশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বর্তমান সরকার ২০২০-২১ সালকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে              মুজিববর্ষ ঘোষণা করেছে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বর্ণাঢ্য উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বছরব্যাপী উদযাপন। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত এ বর্ষ উদযাপন করা হবে। জাতি সংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও              সংস্কৃতি বিষয়ক অঙ্গসংগঠন ইউনেস্কোর ৪০তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে মুজিববর্ষ পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশের ৪৫৭১টি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধু কৃষি উৎসব আয়োজনের মহাকর্ম পরিকল্পনা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কৃষি উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে গ্রামীণ মেলা, দেশীয়      খেলাধুলা, নৌকা বাইচ, লোকগীতি-গম্ভীরা, স্থানীয় কৃষকের ভাবনা, কৃষকের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আালোচনা  পর্যালোচনার আয়োজন রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে। এ বর্ষ উদযাপন ফলপ্রসূ করতে কৃষি তথ্য সার্ভিস কর্তৃক প্রস্তুতকৃত কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাফল্য ও সম্ভাবনা বিষয়ক ডকুমেন্টারি কৃষি উৎসবের মেলায় প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে। প্রতি জেলায় বিভিন্ন ফসলের সর্বোত্তম উৎপাদনকারীকে পুরস্কার প্রদানের নির্দেশনা রয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিটি সংস্থা ২০২০ সালে একটি সেবা সপ্তাহ ঘোষণা করে সে হিসেবে কাজ করবেন। কৃষির বিবর্তন, ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ, সেখান থেকে উত্তরণ, কৃষি বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা, কৃষি ক্ষেত্রে বর্তমান অগ্রগতি  ইত্যাদি বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে এলাকাভিত্তিক গম্ভীরা ও জারীগানের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
এ বর্ষ উপলক্ষ্যে সারা দেশব্যাপী ফসল কর্তন উৎসব পালন করা হবে। বঙ্গবন্ধুর কৃষি ভাবনা সম্পর্কিত এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্যানার, ফেস্টুন এবং লিফলেট ও পোস্টার বিভিন্ন স্থানে স্থাপন ও বিতরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও এ বর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কৃষি অলিম্পিয়াড আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কৃষির স্থানীয় সমস্যা, উত্তরণের উপায় এবং সম্ভাবনা, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে স্থানীয় ভ‚মিকা, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক স্মৃতিচারণ ও দেশপ্রেম ভিত্তিক রচনা, বঙ্গবন্ধুর কৃষি ভাবনা বিষয়ক বিভন্ন লেখার সমন্বয়ে বৃহৎকলেবরে একটি সুভ্যেনির রচনা করা হবে।
এছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বছরব্যাপী সাপ্তাহিক অফিস ভবন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম, বছরব্যাপী মাসিক অফিস প্রাঙ্গণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম, বছরব্যাপী মাসিক সভার আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সর্বোপরি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সারা বাংলাদেশের জনগণের সম্মিলিত চিন্তা চেতনায়, পরিকল্পনা ও প্রয়াসে মহাকালের সেতু বন্ধন হিসেবে মুজিববর্ষ হয়ে উঠুক জাতির এ মহান পুরুষের কাল ফলক। মুজিবীয় চেতনায় বাংলার কৃষির বিকাশ ঘটুক শতাব্দী থেকে শতাব্দীতে। য়

মহাপরিচালক, ডিএই, খামারবাড়ি, ঢাকা, ফোন : ৯১৪০৮৫০, ইমেইল : ফম@ফধব.মড়া.নফ


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon